কল্যাণ/যৌথ/দাফন অনুদান
সেবাপ্রার্থীর ক্যাটাগরি :
কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীর নিজে কোন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা করালে জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের দেশে বিদেশে চিকিৎসা সাহায্য তহবিল হতে চাকরি জীবনে এক বা একাধিকবারে সর্বোচ্চ ২ (দুই) লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
সেবার মৌলিক তথ্যাবলী :
সেবা প্রদানকারী অফিসের নাম |
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা/কর্মচারী |
সেবা প্রাপ্তির স্থান |
প্রয়োজনীয় সময় |
|
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, ঢাকা |
২টি কমিটি কর্তৃক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করা হয়। কমিটি ২টি নিম্নরূপ: ১. বাছাই কমিটির সভার সুপারিশ ২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় চুড়ান্ত অনুমোদন |
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা। |
৩৫ কার্যদিবস |
|
সেবা প্রদানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
|
১. আবেদনসমূহ প্রাপ্তির পর সফটওয়্যারে এন্ট্রি করে তালিকা তৈরি এবং SMS এর মাধ্যমে আবেদনের ডিজিটাল ডায়েরী নম্বর, তারিখ ও আবেদনে কোন ত্রুটি থাকলে তা জানিয়ে দেয়া হয় ২. বাছাই কমিটিতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা রোগের সঠিকতা নিরুপন, কাগজপত্রসমূহ পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং অর্থ সুপারিশ করা হয় ৩. পরবর্তীতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় চূড়ান্ত অর্থ মঞ্জুরি প্রদান করা হয় এবং SMS এর মাধ্যমে মঞ্জুরিকৃত অর্থের পরিমাণ জানিয়ে দেয়া হয় ৪. সেবাপ্রার্থীর নামে মঞ্জুরিকৃত অর্থ সেবাপ্রার্থীর ব্যাংক হিসাবে EFT এর মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হয় এবং অগ্রায়নপত্রের মাধ্যমে এডভাইস লেটার জনতা ব্যংকে প্রেরণ করা হয় ৫. এ সংক্রান্ত সকল তথ্য বোর্ডের ওয়েবসাইট (www.bkkb.gov.bd) থেকে জানা যায় |
|||
সেবা প্রাপ্তির শর্তাবলি
|
১. নির্ধারিত আবেদন ফরম নং ০৮ পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি প্রতিস্বাক্ষর করে সংযুক্ত করে মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড, প্রধান কার্যালয়, ১ম ১২তলা সরকারি অফিস ভবন, সেগুনবাগিচা, ঢাকা বরাবরে একটি ফরওয়ার্ডিং চিঠির মাধ্যমে প্রেরণ করতে হয়; ২. কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীর নিজের চিকিৎসার জন্য চাকরি জীবনে এক বা একাধিকবারে সর্বোচ্চ ২ (দুই) লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়; ৩. ফরমের নির্ধারিত স্থানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক প্রত্যয়ন এবং মৃত কর্মকর্তা কর্মচারীর অফিস কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষরসহ নামযুক্ত সিল প্রদান; ৪. জটিল ও ব্যয়বহুল রোগঃ হার্ট ষ্ট্রোক, ব্রেইন ষ্ট্রোক, বাইপাস সার্জারী, হার্টে রিং পড়ানো, ক্যান্সার, কিডনী ডায়ালাইসিস, কিডনী ট্রান্সফার, মারাত্মক দূর্ঘটনাজনিত কারণে অঙ্গহানি। |
|||
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র |
১. হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকলে মূল ছাড়পত্র (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত); ২. চিকিৎসা সংক্রান্ত বিল ভাউচার এর মূলকপি (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত); ৩. চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যবস্থাপত্র ও রিপোর্ট (অফিস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিস্বাক্ষরিত); ৪. চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচের হিসাববিবরণী (কর্মচারীর স্বাক্ষর সহ); ৫. জাতীয় বেতনস্কেল, ২০১৫-এ বেতননির্ধারণ (Payfixation) ফরমের সত্যায়িত ফটোকপি; ৬. নূন্যতম জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তা কর্তৃক প্রত্যয়ন ও অগ্রায়ন হতে হবে। |
|||
প্রয়োজনীয় ফি/ ট্যাক্স/ আনুষংঙ্গিক খরচ |
এজন্য কোন ফি প্রয়োজন হয় না |
|||
সংশ্লিষ্ট আইন-কানুন/ বিধি-বিধান/ নীতিমালা |
বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০০৪ এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (তহবিলসমূহ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী |
|||
নির্দিষ্ট সেবা পেতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী প্রতিকারকারী কর্মকর্তা |
পরিচালক(প্রশাসন)/মহাপরিচালক |
জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের অনলাইন আবেদনের নিয়মাবলী
১. জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের অনলাইন আবেদনের জন্য বোর্ডের ওয়েব সাইট www.bkkb.gov.bd এর অভ্যন্তরীণ ই-সেবাসমূহ থেকে “জটিল ও ব্যয়বহুল রোগের চিকিৎসা অনুদানের অনলাইন সেবা” লিংকটিতে ক্লিক করে অথবা ব্রাউজারের এড্রেস বারে www.eservice.bkkb.gov.bd/complex/ টাইপ করে Enter চাপুন;২. হোম পেজ থেকে “রেজিস্ট্রেশন” বাটনে ক্লিক করে কর্মচারীর ধরন এবং কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রের ধরণ পছন্দ করতে হবে। উল্লেখ্য কর্মচারীর ধরন “কর্মরত” এবং কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রের ধরন “রাজস্বখাতভুক্ত” বাছাই করলে পে-ফিক্সেশন নম্বর ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে;
৩. রেজিস্ট্রেশনের ২য় ধাপে কর্মচারীর নাম, কর্মচারীর জন্ম তারিখ, কর্মচারীর লিঙ্গ, কর্মচারীর মোবাইল ফোন নম্বর ও পাসওয়ার্ড "রেজিস্ট্রেশন করুন” বাটনে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করুন;
৪. আপনার মোবাইল নম্বরে ৬ ডিজিটের একটি ভেরিফিকেশন কোড (OTP) যাবে। “অভিনন্দন, রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। আপনার মোবাইল নম্বরে পাঠনো OTP (One Time Password) ১৫ মিনিটের মধ্যে সাবমিট করে একাউন্টটি সক্রিয় করুন।” কোড নম্বরটি দিয়ে “সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে “অভিনন্দন, আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে ম্যাসেজ দেখাবে;
৫. ইতোপূর্বে যারা বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের অনলাইন সেবার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন তাদেরকে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন নেই;
৬. হোম পেজ থেকে “লগইন” বাটনে ক্লিক করে মোবাইল নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সফটওয়্যারে লগইন করার পর আবেদনকারীর ছবি ও প্রোফাইল তথ্য আপডেট করতে হবে;
৭. হোম পেজ থেকে “নতুন আবেদন” বাটনে ক্লিক করে নির্দেশাবলী অনুযায়ী পরবর্তী ধাপে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে;
৮. আবেদন ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে “সংরক্ষণ করুন” বাটনে ক্লিক করে আবেদন সংরক্ষণ ও প্রিন্ট করা যাবে। “বিস্তারিত” বাটনে ক্লিক করে আবেদনের তথ্যাদি দেখা যাবে, "আবেদন সংশোধন” বাটনে ক্লিক করে তথ্যাদি সংশোধন এবং "প্রেরণ করুন” বাটনে ক্লিক করে আবেদন প্রেরন করা যাবে;
৯. আবেদনটি সফলভাবে প্রেরিত হলে আবেদনকারী তাঁর ড্যাশবোর্ডে আপনার আবেদনটি সফলভাবে প্রেরিত হয়েছে নোটিফিকেশন দেখাবে এবং আবেদনকারীর মোবাইল ফোনে আবেদন গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে তারিখ সম্বলিত একটি ক্ষুদেবার্তা পাবেন; ১০. আবেদন ফরম অনলাইনে প্রেরণ করার পর, QR Code ও আবেদনকারীর ছবি সম্ভলীত ২ (দুই) পৃষ্ঠার আবেদন ফরমটি ডাউনলোডপূর্বক প্রিন্ট করুন;
১১. আবেদন ফরম প্রিন্ট করার পর অফিস কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর ও সীল এবং স্মারক নং ও তারিখ দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অফিস ফরোয়ার্ডিং এর মাধ্যমে আবেদনের হার্ডকপি বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে;
১২. স্বয়সম্পূর্ণ আবেদনের হার্ড কপি কল্যাণ বোর্ডে গৃহীত হলে আবেদনকারী তাঁর মোবাইল ফোনে আবেদন গ্রহণের ডায়েরি নম্বর ও তারিখ সম্বলিত একটি ক্ষুদেবার্তা পাবেন এবং পরবর্তীতে অনলাইনে লগইন করে তার আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন;
১৩. অসম্পূর্ণ আবেদনের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে তাঁর মোবাইল ফোন আপত্তির কারণ জানিয়ে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ করা হবে এবং অনলাইনে লগইন করে তার ড্যাশবোর্ডে আবেদনের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন। ১৪. চলতি মাসের স্বয়সম্পূর্ণ আবেদন পরবর্তী মাসে বাছাই কমিটির মাধ্যমে আবেদন বাছাই ও ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে অর্থ বরাদ্দ প্রদান করা হয়;
১৫. আবেদন অনুমোদনের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারীর মোবাইল ফোনে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হয় EFT তে আবেদনকারীর ব্যাংক হিসেবে অনুদানের অর্থ প্রেরণ করা হয়;